জননেতা” শব্দটি মূলত দুটি অংশ নিয়ে গঠিত: জন (অর্থাৎ জনগণ) এবং নেতা (অর্থাৎ নেতা)।
তাই “জননেতা” বলতে বোঝায় এমন একজন নেতা যিনি জনগণের স্বার্থে কাজ করেন, জনগণের ভালোবাসা ও সমর্থন অর্জন করেছেন এবং সাধারণ মানুষের কাছাকাছি থাকেন।

একজন রাজনৈতিক নেতা যিনি সাধারণ মানুষের কল্যাণে কাজ করেন এবং যিনি জনগণের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন।
এটি সাধারণত সম্মানসূচক উপাধি হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
জননেতা” শব্দের গভীরতা বিবেচনা করলে বোঝা যায়:
“জননেতা” মানে এমন একজন নেতা যিনি জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন, যিনি জনগণের জন্য কাজ করেন এবং জনতার স্বার্থে নেতৃত্ব দেন।
জননেতা শুধু রাজনৈতিক নেতা হতে হবে—এমন কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
একজন জননেতা হতে পারেন—
রাজনৈতিক নেতা,
সামাজিক নেতা,
শিক্ষা-নেতা,
শ্রমিক নেতা,
ধর্মীয় নেতা,
একজন জননেতার অনেক গুন থাকতে পারে। কিছু গুন থাকা দরকার যেমন জনসেবার মানসিকতা, সাহস ও দৃঢ়চেতার মনোভাব, সততা ও নৈতিকতা,মানুষের সাথে যোগাযোগ ও সুম্পরক, নেতৃত্বদানের ক্ষমতা,আত্মত্যাগের মানসিকত, দূরদর্শিতা ও বিচক্ষণতা, অহংকারহীনতা ও বিনয়, সহানুভূতি ও মানবতা, নিরপেক্ষতা ও ন্যায়বিচার।
তাহলে বলতে পারি জননেতা হওয়ার মূল বিষয় হলো – জনগণের কল্যাণে কাজ করা ও জনতার ভালোবাসা অর্জন করা, সেটা রাজনীতির ভেতরে হোক বা বাইরে।